(ক) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি কারা? (২য় অধ্যায়)
(খ) মুক্তিযুদ্ধকে গণযুদ্ধ বলা হয় কেন? (২য় অধ্যায়)
(গ) ছক ও A' তে কোন শ্রেণির অবদানের উল্লেখ রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) সেই ব্যক্তির ভূমিকা মূল্যায়ন করুন যার নেতৃত্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে টেবিল এবং B এর ঘটনায় উদ্ভাসিত হয়েছে।
(ক)-এর উত্তর :
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ।
(খ)-এর উত্তর :
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের বাঙালিরা অংশগ্রহণ করেছে বলেই এ যুদ্ধকে গণযুদ্ধ বা জনযুদ্ধ বলা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মূল নিয়ামক শক্তি ছিল জনগণ। তাই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র, পেশাজীবী, নারী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে।
(গ)-এর উত্তর :
ছক 'A' তে ছাত্র সমাজের অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে- উদ্দীপকের ছক A' -তে আমরা দেখতে পাচ্ছি ১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৬৮ এবং ১৯৭১ এই চারটি সাল দেওয়া হয়েছে যার প্রত্যেকটিতে ছাত্রসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা অপরসীম। মূলত বাংলাভাষা অর্জিত হয়েছে ছাত্রদের রক্তর বিনিময়ে। লাগাতার কর্মসূচি, ধর্মঘট দিয়ে পাকিস্তান থেকে বাংলা ভাষার বিজয় ছিনিয়ে এনেছে বাংলার তরুণ ছাত্ররা। এছাড়াও ১৯৬৬ সালের ৬ দফা যা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিত, ১৯৬৮ সালের ১১ দফা এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রদের অপরসীম ভূমিকা স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিরাট অংশ সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেয়। অনেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিরােধ করেন।
(ঘ)-এর উত্তর :
ছক 'B' এর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা নিম্নে মূল্যায়ন করা হলা:
স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অতুলনীয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পেছনে যে মহান ব্যক্তিটির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা। তার যােগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমেই আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়ােছ। স্বাধীনতা তথা স্বায়ত্তশাসনের লক্ষেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা পেশ করেন যা বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ হিসেবে পরিচিত। এ ৬ দফা কর্মসূচি বাঙালিদের স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি ছিল বাংলার স্বাধীনতার প্রধান হাতিয়ার। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এ ভাষণ এক স্মরণীয় দলিল। এ ভাষণের ফলেই বাংলার কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, প্রশাসক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের মানুষ যুদ্ধে পরােক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে ঝাপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মুক্তি যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বেই দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীন বাংলাদেশ।
(A) Who is the main controlling force of the liberation war of Bangladesh? (Chapter 2)
(B) Why is the war of liberation called people's war? (Chapter 2)
(C) Which category of contribution is mentioned in Table and A? Explain.
(D) Evaluate the role of the person whose leadership has been manifested in the events of Table and B in achieving the independence of Bangladesh.
Answer to (a) :
The people were the main controlling force in the liberation war of Bangladesh.
Answer to (b) :
This war is called the People's War because the Bengalis of all walks of life participated in the liberation war of Bangladesh. The people were the main controlling force in the liberation war of Bangladesh. So when the war of liberation started, various political parties, students, professionals, women, cultural activists and people of all walks of life jumped into the war from their respective positions. Leaving the illusion of life, he liberated the country from enemies and established an independent sovereign Bangladesh.
Answer to (c) :
The contribution of the student community is mentioned in Table 'A'. In the stimulus table 'A' we can see that the four years 1952, 196, 1961 and 1971 have been given in each of which the student community plays an important role. The role of the students in the language movement of 1952 is immense. Basically Bangla language has been acquired in exchange of students' blood. The young students of Bengal have snatched the victory of Bengali language from Pakistan through continuous programs and strikes. In addition, the 7 points of 1967 which is known as the Charter of Liberation of the Bengali Nation, the 11 points of 1966 and the last time the immense role of students in the war of independence of 1971 were clearly observed. When the war of liberation started on March 26, 1971, a large number of school, college and university students directly contributed to the war of liberation. Many of them received training in neighboring India and entered the country to resist the Pakistani aggressors.
Answer to (d) :
The leadership of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman has emerged in the incident of Table 'B'. The role of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman in achieving the independence of Bangladesh is evaluated as follows:
Bangabandhu's role in achieving independence is incomparable. The greatest person behind the independence of Bangladesh is Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. He is the dreamer of independent Bengal. We have got this independent Bangladesh only through his able and efficient leadership. Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman introduced the historic 6 points in 1976 which is known as the Charter of Liberation of the Bengali Nation with the aim of independence and autonomy. This 6-point program inspires the Bengalis in the mantra of independence. Bangabandhu's historic speech on March 7, 1971 was the main tool of Bengal's independence. This speech is a memorable document in the history of the Bengali nation. As a result of this speech, people of all walks of life including peasants, workers, students, administrators, professionals, intellectuals, cultural personalities of Bengal jumped into the war directly or indirectly. Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman was the Commander-in-Chief of the War of Liberation. Under his able leadership, independent Bangladesh has snatched the Bengali nation by fighting for nine long months.