(ক) ঐতিহাসিক আগরতলা মামলায় মােট আসামীর সংখ্যা কত ছিল?
(খ) ভিশন-২০২১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের এগিয়ে যাওয়ার একটি কারণ বর্ণনা কর।
(গ) উদ্দীপকে প্রদত্ত চিত্রটি আমাদের কোন ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়?
(ঘ) উক্ত ঘটনাটি বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে অসামান্য অবদান রাখে বিশ্লেষণ কর।
(ক)-এর উত্তর :
ঐতিহাসিক আগরতলা মামলায় মােট আসামীর সংখ্যা ছিল ৩৫ জন।
(খ)-এর উত্তর :
বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি শক্তিশালী মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। আর বিভিন্ন কারণে সরকার 'ভিশন-২০২১' এর লক্ষমাত্রা অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে। এর একটি কারণ হলাে শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি। বাংল জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়নের ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় পাশের হার বেড়েছে, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমেছে এবং বিভিন্ন শ্রেণিতে নারী শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার বেড়েছে।
(গ)-এর উত্তর :
আলােচ্য উদ্দীপকের চিত্রটি আমাদের ভাষা আন্দোলনের কথা স্বরণ করিয়ে দেয়। নিম্নে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়া হলাে-
পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বেই ভাষা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর শাসক গােষ্ঠী উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা করার চেষ্টা চালাতে থাকে। ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ পাকিস্তানের গর্ভ্নর জেনারেল মােহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এবং ২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘােষণা দেন। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারী খাজা নাজিমুদ্দিন পল্টন ময়দানে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘােষণা দেন। ফলে দেশব্যাপী ছাত্র সমাজ আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট এবং ঐদিন রাষ্ট্রভাষা দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পাকিস্তান সরকার ছাত্রদের আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। কিন্তু ছাত্র সমাজ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করে এবং পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে আবুল বরকত, রফিক, সালামসহ অনেক শহীদ হন। এরপর আন্দোলন চলতে থাকে। অবশেষে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান, সরকার পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে স্বীকৃতি দেয়।
(ঘ)-এর উত্তর :
ভাষা অন্দোলন বাঙালির জাতীয়তাবাদ বিকাশে অসামান্য অবদান রাখে। নিম্নে বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হলাে-
বাঙালির জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভাষা আন্দোলন সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে। পাকিস্তানের প্রতি বাঙালির আগে যে মােহ ছিল তা দ্রুত কেটে যেতে থাকে। নিজস্ব জাতিসত্তা সৃষ্টিতে ভাষা ও সংস্কৃতির সম্পর্ক এবং গুরুত্ব পূর্ব বাংলার মানুষের কাছে অধিকতর স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বাঙালি হিসেবে নিজেদের আত্ম পরিচয়ে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা সংস্কৃতি গড়ে তােলার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে থাকে। একই সাথে পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক চরিত্র এবং দ্বিজাতিতত্ত্বের ভুলগুলাে বুঝতে পারে। পাকিস্তানের মােট জনসংখ্যার ৫৬ শতাংশ বাঙালি হওয়ার পরও রাষ্ট্র পরিচালনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভােগসহ পাকিস্তানের কর্তৃত্বপূর্ণ মনােভাবের বিরুদ্ধে বাঙালি ঐক্যবদ্ধ হয়। বাঙালি এ সময় রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে থাকে। ফলে বাঙালি পূর্ব পাকিস্তানের স্বার্থ রক্ষায় নিয়ােজিত রাজনৈতিক দলগুলাের অধীনে বিশেষ করে আওয়ামী লীগের অধীনে বিভিন্ন কর্মসূচী চালিয়ে যেতে থাকে। পাকিস্তান সরকার ১৯৬২ সালে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম কার্যক্রম গ্রহণ করলে বাঙালির জোরালাে প্রতিবাদে তা প্রতিহত হয়। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তান অরক্ষিত থাকলে বাঙালি নিজেদের অধিকার সম্পর্কে আরও সচেতন হয় এবং ছয় দফার মাধ্যমে আধিকারের রূপরেখা প্রদান করে।
পরিশেষে বলা যায় যে, ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি তাদের অধিকার আদায় সম্পর্কে দীক্ষাপ্রাপ্ত হয়। এটি বাঙালির জাতীয়তাবাদ বিকাশে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে তােলে। বাঙালির জাতীয়তাবাদ বিকাশের ভাষা আন্দোলনের অবদান অসামান্য।
(A) What was the number of Mate accused in the historic Agartala case?
(B) Describe one of the reasons why the government is moving ahead in achieving the targets of Vision-2021.
(C) The picture given to the stimulus reminds us of which historical event?
(D) Analyze that incident made an outstanding contribution to the development of Bengali nationalism.
Answer to (a) :
The number of accused in the historic Agartala case was 35.
Answer to (b) :
The government is working to transform Bangladesh into a strong middle-income country by 2021. And for various reasons, the government is moving forward to achieve the goals of 'Vision-2021'. One of the reasons for this is the progress in the field of education. As a result of formulation of Bengal National Education Policy 2010, radical changes have taken place in the field of education. As a result of taking various steps in the field of education, the pass rate in various public examinations has increased, the dropout rate has decreased and the attendance rate of female students in different classes has increased.
Answer to (c) :
The image of the stimulus reminds us of the language movement. The matter is explained below-
The debate over language began even before the creation of the state of Pakistan. After the creation of the state of Pakistan, the ruling party tried to make Urdu the state language of Pakistan. On 21 March 1948, the Governor General of Pakistan, Muhammad Ali Jinnah, declared Urdu as the state language of Pakistan at the Race Course Ground in Dhaka and on 24 March at the convocation of Dhaka University. On 26 January 1952, Khwaja Nazimuddin declared Urdu as the state language of Pakistan at Paltan Maidan. As a result, a nationwide student society movement began. On 21 February 1952, a nationwide general strike was declared and it was decided to observe State Language Day on that day. The government of Pakistan issued Section 144 to curb the student movement. But the student society violated Section 144 and took out a procession and the police opened fire on the procession. Abul Barkat, Rafiq, Salam and many others were martyred in the police firing. Then the movement continues. Finally, in 1956, the government of Pakistan recognized Bengal in the constitution of Pakistan.
Answer to (d) :
The language movement made an outstanding contribution to the development of Bengali nationalism. The matter is analyzed below-
The language movement unites all in the development of Bengali nationalism. The pre-Bengali sentiment towards Pakistan is rapidly disappearing. The relationship and importance of language and culture in the creation of one's own nationality became clearer to the people of East Bengal. As Bengalis, they began to realize the importance of oil in building their own identity in politics, economy, education and culture. At the same time it can understand the political character of West Pakistan and the mistakes of biracialism. Even though 56% of the population of Pakistan is Bengali, the Bengalis are united against the authoritarian attitude of Pakistan including running the state, administrative duties, economic and political rights. Bengalis became politically aware at this time. As a result, the Bengalis continued to carry out various programs under the auspices of the political parties, especially the Awami League, to protect the interests of East Pakistan. When the government of Pakistan took various measures in the field of education in 1962, it was resisted by the strong protests of the Bengalis. When East Pakistan was unprotected during the Indo-Pakistani war of 1965, the Bengalis became more aware of their rights and outlined their rights through six points.
In the end, it can be said that Bengalis were initiated to realize their rights through language movement. It unites all in the development of Bengali nationalism. The contribution of the language movement to the development of Bengali nationalism is outstanding.