বাংলাদেশের রাজনীতির উপর গবেষণা করতে গিয়ে একটি নিবন্ধ আশিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। নিবন্ধটির শিরােনাম ছিল 'রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য যাতে তৎকালীন শাসকগােষ্ঠীর নানা ষড়যন্ত্র বিশদভাবে লিপিবদ্ধ আছে।
(ক) দ্বি-জাতি তত্ত্ব কে প্রবর্তন করেন?
(খ) ৫২'- এর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম কারণ কী ছিল? ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত তথ্য কোন ঘটনাকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উক্ত ঘটনা বাঙালিকে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করতে অনুপ্রেরণা যােগায়'- বিশ্লেষণ কর।
(ক)-এর উত্তর :
মােহাম্মদ আলী জিন্নাহ দ্বি-জাতি তত্ত্ব প্রবর্তন করেন।
(খ)-এর উত্তর :
৫২'-এর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম কারণ ছিল বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে করাচিতে অনুষ্ঠিত এক শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে পূর্ব বাংলায় তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। পরবর্তীতে, মােহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও খাজা নাজিমুদ্দিন উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘােষণা দিলে পূর্ব বাংলার ছাত্র সমাজ প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। উর্দুর পাশাপাশি মাতৃভাষা বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।
(গ)-এর উত্তর :
উদ্দীপকে উল্লিখিত তথ্য ঐতিহাসিক আগরতলা মামলাকে নির্দেশ করে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং তাঁর বিশ্বাস ছিল শেষ পর্যন্ত। শসন্ত্র সংগ্রাম ব্যতীত বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হবে না। তাই তিনি তৎকালীন গোপনে গঠিত বিপ্লবী পরিষদের সদস্যদের সশস্ত্র উপায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সম্মতি দেন।
অপরদিকে বিপ্লবী পরিষদের পরিকল্পনা ছিল একটি নির্দিষ্ট রাত্রে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে বাঙালিরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তৎকালীন পূর্ব প্রাকিস্তানের সবগুলাে ক্যান্টনমেন্টে কমান্ডাে স্টাইলে হামলা চালিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানিদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের বন্দি করবে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণা করবে। কিন্তু পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হওয়ার পূর্বেই তা ফাঁস হয়ে যাওয়ার কারণে ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা দায়ের করা হয়।
(ঘ)-এর উত্তর:
ঐতিহাসিক আগরতলঅ মামলা বাঙালিকে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল-উক্তিটি যথার্থ।
পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের শােষণ, নিপীড়ন ও অত্যাচার থেকে পূর্ব বাংলার মানুষকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চূড়ান্ত রাজনৈতিক লক্ষ্য। যেহেতু তিনি বিশ্বাস করতেন যে, সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়, সেহেতু তিনি সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য গােপনে গঠিত বিপ্লবী পরিষদের সদস্যদের পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছিলেন। পরকল্পনা অনুযায়ী কমান্ডাে স্টাইলে ক্যান্টেনমেন্টে হামলা চালিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যদের বন্দি করা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘােষণা করার কথা ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তা ফাঁস হয়ে গেলে শাসকগােষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামী করে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা দায়ের করে।
পাকিস্তানি দণ্ডবিধির ১২১-এ ও ১৩১ ধারায় তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানকে সশস্ত্র পস্থায় স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করার অভিযােগ আনা হয়। ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন তারিখে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে প্রতিষ্ঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এ মামলার শুনানি শরু হয়। মামলা শুরু হওয়ার পর তা প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলন শুরু হয়। ছাত্র সমাজের ১১ দফার ভিত্তিতে কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপলাভ করে।
পরবর্তীতে এ গণ আন্দোলন পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থার ভিতকে নাড়িয়ে দেয় ৬-দফা ও ১১ দফা আন্দোলনের ফলে যে গণজাগরণের সৃষ্টি হয় তারই ধারাবাহিকতায় ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা" বাঙালিদের স্বাধীনতার অর্জনের দিকে অনুপ্রাণিত করে।
An article while researching the politics of Bangladesh drew Ashik's attention. The title of the article was' State vs. Sheikh Mujibur Rahman and others so that the various conspiracies of the then ruling class are recorded in detail.
(A) Who introduced the two-nation theory?
(B) What was one of the reasons for the language movement of '52? Explain.
(C) What event does the information mentioned in the stimulus indicate? Explain.
(D) The incident inspires the Bengalis to move towards independence '- analyze.
Answer to (a) :
Muhammad Ali Jinnah introduced the two-nation theory.
Answer to (b) :
One of the reasons for the language movement of '52 was the demand to make Bengali the state language. The decision to make Urdu the state language of Pakistan at an educational conference held in Karachi in December 1948 sparked strong protests in East Bengal. Later, when Muhammad Ali Jinnah and Khwaja Nazimuddin declared Urdu to be the only state language of Pakistan, the student society of East Bengal protested. Along with Urdu, a movement was started to demand that mother tongue Bengali be made one of the state languages of Pakistan.
Answer to (c) :
The information referred to the stimulus points to the historic Agartala case. Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman's ultimate goal in politics was the independence of Bangladesh and his faith was in the end. It will not be possible to achieve the independence of Bangladesh without armed struggle. So he agreed with the members of the then secretly formed Revolutionary Council to implement the plan for Bangladesh's independence through armed means.
On the other hand, the plan of the Revolutionary Council was to divide the Bengalis into different groups on a certain night and at a certain time in a command-style attack in all the cantonments of East Pakistan, take away the weapons of the West Pakistanis and capture them and declare the independence of Bangladesh under the leadership of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. But the historic Agartala case was filed because the plan was leaked before it was implemented.
Answer to (d) :
The historic Agartala case inspired the Bengalis to move towards independence - the statement is correct.
Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman's ultimate political goal was to liberate the people of East Bengal from the tyranny, oppression and tyranny of the West Pakistani rulers. Since he believed that independence of Bangladesh was not possible without armed struggle, he agreed to the plan of the members of the Revolutionary Council formed in secret to achieve independence through armed struggle. According to the plan, the commande-style attack on the cantonment was to capture Pakistani soldiers and declare Bangabandhu's independence. But when it was leaked before the plan was implemented, the ruling party filed a historic Agartala case against 35 people with Bangabandhu as the main accused.
Sections 121A and 131 of the Pakistani Penal Code allege that the then East Pakistan was planned to be established as an independent and sovereign state by armed means. The trial of the case began on 19 June 1966 at a special tribunal established in Dhaka Cantonment. After the case started, a movement was started to withdraw it. The united movement of peasants, workers and students on the basis of 11 points of the student society turned into a mass movement.
Later, this mass movement shook the foundations of the system of governance in Pakistan.