শ্ৰীলঙ্কায় তামিলদের সাথে সরকারের বিরােধ স্বাধীনতার পর থেকেই। ১৯৭৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে 'তামিল ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট' নাম নিয়ে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯টি আসনে প্রতিযােগিতা করে ১৮টি আসন নিজেদের দখলে নিয়ে বৃহত্তম বিরােধী দলে পরণত হয়। কিন্তু এর পরে ও ১৯৭৭, ১৯৮১, ১৯৮৩ ও ১৯৮৪র তামিল-সিংহলী দাঙ্গা শ্রীলঙ্কার জাতীয় জীবনে এক দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে তামিল ইউনাইটেড দিবারেশন ফ্রন্ট, তামিল ইলম ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট, লিবারেশন ইগরার অব তামিল ইলম সহ অন্যান্য সমমনা সংগঠন একত্রিত হয় তাদের অস্তিত্ব ও স্বার্থ রক্ষার্থে।
(খ) ৬৯ -এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম কারণ কী ছিল? ব্যাখ্যা কর। (১ম অধ্যায়)
(গ) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালিদের স্বার্থরক্ষায় সােচ্চার কোন দলটি তামিল ইউনাইটেড ফ্রন্ট এর মতাে তাদের নাম পরিবর্তন করেছিল? বাঙালিদের স্বার্থ রক্ষা্থে দেশবিভাগের পরপরই দলটির বিস্তৃত কর্মসূচি সমূহ কী কী ছিল?
(ঘ) নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় তামিল দলগুলাের মতাে জোটবদ্ধ হয়ে বাঙালিরাও ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন করে সফলতা পেয়েছিলবিশ্লেষণ কর।
(ক)-এর উক্তর :
১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মীর্জা সামরিক আইন জারি করেন।
(খ)-এর উত্তর :
শেখ মুজিবুর রহমান সশস্ত্র পন্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তার নেতৃত্বে বিপ্লবী পরিষদ গঠন করেন। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই সেটি ফাঁস হয়ে যায় এবং তার পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়।
ফলশ্রুতিতে শেখ মুজিবসহ সর্বমাট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা শুরু হওয়ার পর মামলা প্রত্যাহারের জন্য সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে আন্দোলনটি গণ-আন্দোলনে রূপ লাভ করে। এ গণ-আন্দোলনের ফলে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। এতে অনেকে নিহত হন।
(গ)-এর উত্তর :
পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালিদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাঙালি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীম লীগ' তাদের নাম পরিবর্তন করে 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ' নামকরণ করে।
তৎকালীন মুসলিম লীগের দ্বিজাতিতাত্ত্বি ধ্যান-ধারণা থেকে বের হয়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি রাজনৈতিক নেতৃত্ব ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পূর্ব বাংলার জনগণের স্বার্থ আদায়ের লক্ষে তখনকার রােজগার্ডেনে এক সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করে। তারা বাঙালিদের স্বার্থ আদায়ের লক্ষে সােচ্চার হওয়ার পাশাপাশি ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শ ধারণ করার জন্য "পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ নাম পরিবর্তন করে তাদের নাম রাখে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ফলে ধর্ম পরিচয় নির্বিশেষ সকল বাঙালি ও ক্ষুদ্র নৃগােষ্ঠীসমূহ জাতীয়তাবাদের ধারায় অংশগ্রহণের সুযােগ পায়। দলটির মূল উদ্দেশ্য ছিলাে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন, 'জনগণের পবিভামত্ব, বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা প্রদান, পাট ও চা শিল্প জাতীয়করণ, ক্ষতিপূরণ ছাড়া জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ, কৃষকদের মধ্যে জমি বণ্টন, সমবায় ভিত্তিক চাষ ইত্যাদি।
(ঘ)-এর উত্তর :
নিজেদের স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষার্থে তামিলদের মতাে বাঙালিরাও একত্রিত হয়ে 'যুক্তফ্রন্ট' গঠন করে। তারা ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে সফলতাও পায়। নিম্নে ধারাবাহিকভাবে এটি বর্ণনা করা হলাে :
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূল উদ্যোগ ছিল আওয়ামী লীগের। পূর্ব-বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের শােচনীয় পরাজয় ঘটানাের লক্ষে ১৯৫৩ সালের ১৪ নভেম্বর আওয়ামী লীগ যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
২১ দফা দাবি প্রণয়ন শেষে ৪টি দল নিয়ে যুক্ত ফ্রন্ট গঠিত হয়। দল ৪টি হলাে আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম এবং গণতন্ত্রী দল।
১৯৫৪ সালের মার্চ মাসে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ যুক্তফ্রন্ট গঠন করার মাধ্যমে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ব্যাপক সফলতা পেয়েছিল। নির্বাচনে জনগণ যুক্তফ্রন্টের ২১-দফাকে তাদের স্বার্থ রক্ষার সনদ বলে বিবেচনা করে। পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি, মুসলিম লীগ মাত্র ৯টি লাভ করে। অন্যরা বাকী আসনগুলাে লাভ করে। এই নির্বাচনে পূর্ব বাংলার জনগণ পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পশ্চিম পাকিস্তানের আধিপত্য ও প্রভাব থেকে নিজেদের মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এসব আলােচনা থেকে, আমরা বলতে পারি যে, স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষায় তামিল দলসমূহ একত্রিত হয়ে জোট গঠন করেছিল। তাদের মতাে করে আওয়ামী লীগ যুক্তফ্রন্ট গঠন করে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ব্যাপক সফলতা লাভ করেছিল।
The government's antagonism with Tamils in Sri Lanka dates back to independence. In the 1975 general elections, the Tamil United Liberation Front (JULF) contested 19 seats and became the largest opposition party, winning 18 seats. But after that, the Tamil-Sinhalese riots of 1961, 1961, 1963 and 1964 left a lasting scar on Sri Lankan national life. Later, the Tamil United Liberation Front, the Tamil Eelam National Liberation Front, the Liberation Eagle of Tamil Eelam and other like-minded organizations came together to defend their existence and interests.
(B) What was one of the reasons for the mass uprising of '69? Explain. (Chapter 1)
(C) In the interest of the Bengalis in the then East Pakistan, which party changed its name according to the Tamil United Front? What were the party's extensive programs after the partition to protect the interests of the Bengalis?
(D) Analyze that the Bengalis also succeeded in electing the United Front in 1954 by uniting in the opinion of the Tamil parties to protect their existence.
Answer to (a) :
On October 6, 1956, President Iskander Mirza imposed martial law.
Answer to (b) :
Sheikh Mujibur Rahman formed the Revolutionary Council under his leadership to achieve the independence of Bangladesh by armed means. But before the plan could be implemented, it was leaked and his plan failed.
As a result, a total of 35 people, including Sheikh Mujib, were sued in Agartala. The movement turned into a mass movement when people from all walks of life united to withdraw the case after it started. As a result of this mass movement a mass uprising of seventy-nine was organized. Many were killed.
Answer to (c) :
In order to protect the interests of the Bengalis in East Pakistan, the Bengali political personality 'East Pakistan Awami Muslim League' changed their name to 'East Pakistan Awami League'.
The non-communal Bengali political leadership came out of the then bi-ethnic ideology of the then Muslim League and established the East Pakistan Awami Muslim League on 23 June 1949 at a conference in the then Rajgarden to advance the interests of the people of East Bengal. They renamed themselves East Pakistan Awami Muslim League in 1955 to pursue non-communal political ideology as well as to serve the interests of Bengalis. The objectives were provincial autonomy, people's sovereignty, giving Bengal the status of one of the state languages, nationalization of jute and tea industry, abolition of zamindari system without compensation, distribution of land among farmers, cooperative based farming etc.
Answer to (d) :
In order to protect their own interests and existence, the Bengalis also united in the opinion of the Tamils and formed the 'United Front'. They also won the 1954 elections. This is described sequentially as follows:
The main initiative of the Awami League to form the United Front in 1954 was. The Awami League decided to form a united front on 14 November 1953 in order to defeat the Muslim League in the East Bengal Provincial Council elections.
After formulating the 21-point demand, a united front was formed with 4 parties. The four parties are Awami League, Krishak Sramik Party, Nezame Islam and Ganatantri Dal.
Provincial council elections were held in March 1954. The Awami League had great success in forming the United Front and participating in the provincial assembly elections. In the election, the people consider the 21-point of the United Front as a certificate to protect their interests. The United Front won 223 of the 238 Muslim seats in the East Bengal Provincial Council, while the Muslim League won only nine. Others win the rest of the seats. In this election the people of East Bengal decided to free themselves from the domination and influence of West Pakistan in the state power of Pakistan.
From these discussions, we can say that the Tamil parties came together and formed an alliance to protect their interests and existence. According to them, the Awami League formed the United Front and had great success in participating in the provincial council elections.
This is nice blog.
ReplyDelete